গায়েবী স্বাক্ষর দিয়ে একটি কুচক্রী মহল শত শত কোটি টাকার সার উত্তোলনের অভিযোগ
চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয়ত্ত্ব সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) ডিএপি সার কারখানা এবং টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে মেসার্স এম.এ ছবুর এ- ব্রাদার্স এর গায়েবী স্বাক্ষর নিয়ে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘ প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ শত শত কোটি টাকার সার উত্তোলন করে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। জানা যায় পটিয়া ১৪নং ভাটিখাইন ইউনিয়নে, ভাটিখাইন গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র মৃত মোঃ আব্দুল ছবুর সওদাগর বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স এম.এ ছবুর এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি লাইসেন্স নেন। ফটিকছড়ির বক্তপুর ইউনিয়নের বিতরণের জন্য বিসিআইসি ডিলার হিসেবে এই লাইসেন্সের অনুমোদিত। বিগত ১৫ই জুন ২০১০ ইং সালে আলহাজ্ব এম.এ সবুর সওদাগর এর স্ত্রী মরিয়ম বেগম পুত্র ইউনুছ ও মো. ইসহাক মিয়া এবং মেয়ে নূরজাহান বেগম, নূর নাহার বেগম ও নূর আয়েশা বেগম কে রেখে মারা যান তিনি। আলহাজ্ব এম.এ ছবুর সওদাগরের বড় পুত্র মো. ইউনুছ ও ইতিমধ্যে মারা গিয়েছেন। তার ছোট ছেলে মো. ইসহাক মিয়া দৈনিক আলোচিত কণ্ঠকে বলেন, মেসার্স এম.এ ছবুর এ- ব্রাদার্স যে প্রতিষ্ঠানটি আবু শাহাদাত মুহাম্মদ শামীম (৪৫)কে আমার পিতার লাইন্সসে সংক্রান্ত জানতে চাইলে সে লাইসেন্স বাতিল হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন। এর পর হইতে আমার ব্যবসা ভিন্ন হওয়াতে আমার পিতার লাইসেন্স সংক্রান্ত অবগত ছিলাম না, এই সুবাদে প্রায় দীর্ঘ ১০ বৎসর যাবত আমার পিতার গায়েবী স্বাক্ষর বসাইয়া রাষ্ট্রীয় সরকারের মালিকানাধীন টিএসপি, সিইউএফএল, ডি.এস.পি সার কারখানা হতে মজুদ সার পাচার করিয়া দেশের কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি সাধন করিয়াছে বিদায় দৈনিক আজাদী প্রতিবেদনের পর গত ১১ অক্টোবর আবু শাহাদাত মুহাম্মদ শামীম (৪৫) সাং-৫৫০/৫৫৫, স্ট্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট, ৩০নং ওয়ার্ড, থানা-সদরঘাট, জেলা-চট্টগ্রাম, মোঃ আলী আজগর বৈদ্য, প্রকাশ বার্মা আজগর (৪৮), ম্যানেজার, সাং-তত্তারপোল, কালামিয়ার বাজার, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম। ভোলাইয়া মনির আহমদ পিতা-অজ্ঞাত শামীমের কর্মচারী, সাং-স্ট্যান্ড রোড, মাঝির ঘাট, ৩০নং ওয়ার্ড, থানা-সদরঘাট, জেলা-চট্টগ্রাম বিরুদ্ধে প্রায় দীর্ঘ ১০ বৎসর সার উত্তোলনের দায়ে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম সহ অনুলিপি জেলা প্রশাসক সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি সভাপতি, চট্টগ্রাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। উপজেলা কৃষি অফিসার ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম। উপ-পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম, বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করি।
অত্যন্ত দূঃখের বিষয় আমি বিভিন্ন সংস্থা বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ জানালে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেন। চট্টগ্রাম সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ খান মাহাবুবের মধ্যস্থতায় আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের জামাতের কাউন্সিলর প্রার্থী মুলহোতা আবু শাহাদাত মুহাম্মদ শামীমের ভগ্নিপতি জামাতের শীর্ষ নেতা ডাঃ পারভেজ ইকবাল শরীফের নিজ প্রতিষ্ঠানে আন্দরকিল্লা হোটেল ইন্টারন্যাশানাল ১৪ অক্টোবর ফটিকছড়ি উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা, লিটন দেবনাথ ও চট্টগ্রাম কৃষি কর্মকর্তাদের সহিত মুল হোতা আবু সাহাদাত মোঃ শামীমকে নিয়ে গোপন বৈঠক করে ২০লক্ষ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে আবু শাহাদাত মুহাম্মদ শামীমকে বাদ দিয়ে ফটিকছড়ি থানার কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ বাদী হয়ে ২১ শে অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করেন, মেসার্স এম.এ সবুর এ- ব্রাদার্স এর ম্যানেজার আলী আজগর বৈদ্য এবং ফটিকছড়ি, নানুপুর সার ব্যবসায়ী হারুন ষ্টোরের মালিক, মোঃ হারুন কে আসামী করা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন সার ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম যে, সারের ডিলারশীপ নবায়নের ক্ষেত্রে কৃষি অফিসার নিজে উপস্থিত থেকে প্রতি বছর ডিলারশীপ নবায়ন করেন এবং বর্তমানে দৈনিক আজাদী পত্রিকার প্রতিবেদক এবং পত্রিকার বিরুদ্ধে কৃষি অফিসার মামলা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে বলে আমি জানতে পারি। আমি অত্র মামলা হইতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এবং এই সার উত্তোনের মুল হোতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-পরিচালক এন.এস.আই. চট্টগ্রাম জেলার সহ-অনুলিপি, উপ-পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম, ডি.আই.টি কমান্ডার, ডি.জি.এফ.আই, চট্টগ্রাম, ক্যান্টনমেন্ট, জেলা পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম। পরিচালক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম, বি.এফ.এ কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, ঢাকা, বাংলাদেশ। ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন, বি.এফ.এ সচিব মহোদয়, ঢাকা। উপ-পরিচালক, কৃষি অধিদপ্তর, ঢাকা, ভারপ্রাপ্ত অফিসার, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি।
এই বিষয়ে সরেজমিনে জানতে চাইলে কৃষি অফিসার ও সদস্য-সচিব, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম, লিটন দেবনাথ বলেন, আমি বিগত ৩০ অক্টেবার ২০১৩ইং সালে কর্মস্থলে যোগদান করার কিছুদিন পরে সব ডিলারকে ডাকালে মেসার্স এম.এ সবুর এ- ব্রাদার্স এর পক্ষে প্রতিমাসে সার উত্তোলন করেন মো. হারুন, তবে হারুণকে আমি অনেকবার এম.এ সবুরকে আনার জন্য বলিলে, সে আমাকে জানান এম.এস সবুর বয়স্ক ও বৃদ্ধ লোক, অসুস্থতার কথা বলায় এবং পটিয়া থেকে ফটিকছড়ি আসা উনার পক্ষে সম্ভপর নয় বলে জানান। অতপর আমি মোঃ হারুনের কথা বিশ্বাস করিয়া তাকে সার দিতে বাধ্য হই। কিন্তু আমি স্বাক্ষরের বিষয়ে না জেনে সার দিই। বর্তমানের স্বাক্ষর এবং পূর্বের স্বাক্ষরেরর মিল আছে বলে কৃষি অফিসার স্বীকার করেন এবং ইতিমধ্যে দৈনিক আজাদীর প্রতিবেদনে জানতে পারি যে, বিগত ১০ বৎসর পূর্বে মেসার্স এম.এ সবুর এ- ব্রাদার্স এর মালিক এম.এ সবুর সাহেব মৃত জানার পরে উনার স্বাক্ষর জাল করে প্রায় শত শত কোটি টাকার সার উত্তোলন করে। দৈনিক আজাদীতে যে শিরোনাম হয়েছে আমি আজাদী প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করব বলে দৈনিক আলোচিত কণ্ঠকে বলেন।