ভারতীয় পাসপোর্ট ধারী শংকর মহাজনের এশিয়ান এস আর হোটেলে রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডে অবস্থিত এশিয়ান এস আর হোটেল এর ৫০৩ নং রুমে শংকর মহাজন নামে ভারতীয় পাসপোর্ট ধারী একজন ব্যাক্তি শনিবার রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হয়।পরবর্তীতে পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অদ্য ০৯ ই জুলাই সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় শংকর মহাজনকে পাওয়া যায়।এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির ইনফো বাংলাকে বলেন,
ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না এখনো।আপনি থানায় গিয়ে যোগাযোগ করে সকল তথ্য পেতে পারেন।ঘটনাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই বোরহান প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে সহায়তা করার দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা প্রদান করেন নি।এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এশিয়ান এস আর হোটেল কর্তৃপক্ষ ঈদুল আযহার ছুটির জন্য কর্তব্যরত সবাই নেই কারণ দেখিয়ে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং ঈদুল আযহার ছুটির পরে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।বারবার যাওয়ার পরে তারা কামাল পাশা নামে এক ব্যাক্তির মাধ্যমে রুমটি বুকিং দিয়েছে বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শংকর মজুমদার আত্নীয় জানান,তিনি চট্টগ্রাম শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক এবং কিছুদিন পূর্বে বাড়ি বিক্রি করেন যার টাকার লোভে ইহা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হয়েছে বলে আশংকা করছেন তিনি এবং শংকর মহাজনের ভাই তাপস মহাজনের নিরব ভূমিকা এখানে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সেই সাথে ভিকটিমের সাথে ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট ধারী একজন নারীও নিহতের সাথে ছিলো বলে জানান তিনি।তিনি আরও জানান,কামাল পাশা এবং নিহতের এক বন্ধুও হোটেলে আসা যাওয়া করতো কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর সে ভারতে চলে গিয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি। এশিয়ান এস আর হোটেল কর্তৃপক্ষ হতে রুম বুকিং এর সময়ে নেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপএ চাওয়া হলে তারা সবই পুলিশকে দিয়েছে এবং তাদের কাছে কিছুই নেই বলে জানান।হোটেল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা, ভাইসহ অন্য আত্নীয় স্বজনদের সত্য উদঘাটনে কোনো ইচ্ছা না থাকায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! এটা কি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।