গেজেট বের হতে না হতে শুরু হয়েছে প্রতিহিংসামূলক। রাজনৈতিক। চট্রগ্রাম বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় মো. রায়হান (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে অপহরণপূর্বক মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টায় ছনুয়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের আবদুল্লাহর দোকানের পশ্চিম পাশে লবণের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, আজ রাত ৮টায় খুদুকখালী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন পশু চিকিৎসক ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. রায়হান। এসময় তিনি আবদুল্লাহর দোকানের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লবণের মাঠে তুলে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের ছোট ভাই আবদুল আজিজ টিপুর নেতৃত্বে মিজান সিকদার, মিয়া হোসেন, ছৈয়দুল মোস্তফা ওরফে বাক্কা, আশেকুর রহমান, জাহেদ সোহানসহ ৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী রায়হানকে তুলে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান ছনুয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের জমিলাপাড়ার আহমদ ছফার পুত্র।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রায়হানকে উদ্ধার করে বাঁশখালী মাতৃসদন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রায়হানের বড় ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন সওদাগর জাতীয় দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ পএিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সাথে কারও শত্রুতা নেই। নির্বাচনের সময় নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমান তালুকদারের পক্ষে কাজ করেছিল। তখন চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল। আজকে আমার ভাইকে একা পেয়ে এ ঘটনা ঘটালো। এখন রায়হানকে মাতৃসদন হাসপাতালে এক্স-রে কক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে।’
কোথায় নিয়ে মারধর করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুদুকখালী দাশপাড়া রোড থেকে ধরে নিয়ে লবণের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে হাতুড়ি পেটা করে হারুনের ছোট ভাই টিপুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। রায়হানের মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।’
১৫ই জুন বাঁশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরের দিন থেকে শুরু হয়েছে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা অনেক লোকজন ছনুয়া ইউনিয়ন ও মাতৃভূমি ছেড়ে শহরে বসবাস করে। বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ হারুনুর রশিদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে তিনবার সন্ত্রাসী হামলা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক। তিনি দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ পত্রিকাকে বলেন, ‘ ওখানে এসআই আকরাম আর আমি গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবো না। আমাদের মিডিয়া অফিসার আছেন। এ বিষয়ে জানতে আপনি ওসি স্যারকে কল দিতে পারেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ডিউটি অফিসার মো. ফিরোজ দৈনিক কর্ণফুলী সংবাদ পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ভিকটিমের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তাকে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।