হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর- ফান্দাউক রোডে গ্লোরী নামক কোম্পানির অপরিকল্পিত বর্জ ব্যবস্থাপনা ও পঁচা দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বাসী সহ পথচারীরা।
জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলকে হাত করে গ্লোরী কোম্পানি তাদের উৎপাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভুট্টা পঁচিয়ে গু-খাদ্য উৎপাদন, কর্ন পাওডার তৈরি,ও অন্যান্য কাচামাল তৈরির ফলে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিকল্পিত হওয়ায় সরাসরি দুষিত পানি ড্রেনের মাধ্যমে মুক্ত খালে নিষ্কাশন করায় পার্শ্ববর্তী দাশপাড়া, এক্তিয়ারপুর, শ্রীমতপুর, গোপীনাথপুর, ছাতিয়াইন সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
তাছাড়া কোম্পানির দুর্গন্ধের কারনে রতনপুর ফান্দাউক রোডের যাত্রীদের চলাচলের সময় নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হয়। কখনো কখনো যাত্রীরা বমি পর্যন্ত করে থাকে।
দাশপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিজান বলেন, কোম্পানির দূষিত পানির কারনে ফসলের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি গবাদিপশুও মারা যাচ্ছে অহরহ। তাছাড়া দুষিত পানির কারনে খাল-বিলের মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠায় এলাকার জেলেরা দূর্বিষহ দিনাতিপাত করছে। শ্রীমতপুর গ্রামের জুলহাস জানান, আগের মত গরু ছাগল মাঠে চড়াতে পারি না, গোহালে বেধে রাখতে হয়। বিষাক্ত পানি খেয়ে গরু ছাগল মারা যায়। সায়হাম গ্রুপে চাকুরী রত
ছাতিয়াইন গ্রামের ফরিদ জানান, গ্লোরী কোম্পানি সাধারণত রাত ১২ টার পর তাদের দুষিত ও ময়লা পানি ড্রেন খুলে দিয়ে খালে ছেড়ে দেয়। গ্রামবাসী ঘুমে থাকায় পুরুপুরি দুর্গন্ধ যেন ঠের না পার সে জন্য তাদের এ লুকোচুরি খেলা। গ্লোরী কোম্পানির বিরুদ্ধে এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিবেদক সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে কোম্পানিতে কর্মরত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়ে দেয় এবং কথা বলতে রাজি হয়নি।
কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল সাইফুল ইসলাম এর সাথে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় টি দেখব বলে কল কেটে দেন। গ্লোরী’র পরিবেশ দুষনের ব্যাপারে বেশ কয়েকবার হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে প্রতিবেদকের কথা হয়, ছাড় পত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি দেখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবেদন লেখার সময় বেশ কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।