কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

কর্ণফুলী ডেক্স
  • Update Time : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ১৫ Time View

বৈশাখের অপেক্ষায় থাকত কর্ণফুলীর দুই তীরের মানুষ। সব আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নৌকাবাইচ। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছিল ঐতিহ্যের সেই নৌকাবাইচ। এখন শুধু ঐতিহ্য রক্ষা নয়, চট্টগ্রামের প্রাণ কর্ণফুলীকে বাঁচানোর লড়াইয়েও নামতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কর্ণফুলীকে দখলমুক্ত-দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো তিন দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পালন করে আসছিল নানা কর্মসূচি। শেষ দিন আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাম্পান খেলা। একই দিন সন্ধ্যায় চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠে বসে চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলা। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে বিগত এক যুগ ধরে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে স্থানীয়ভাবে আয়োজন করা হয় সাম্পান বাইচ। এতে স্থানীয় কয়েক ডজন সাম্পান সমিতি অংশ নেয়। এদিকে বিকেল থেকে সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল নামে। প্রথম দিন গত বুধবার কর্ণফুলী নদীর ওপর ভাসমান নৌকা, নৌকার ওপরই তৈরি করা হয়েছে ভাসমান নান্দনিক মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই কর্ণফুলী নদী দখল, ভরাট ও দূষণের প্রতিবাদের দ্যুতি ছড়িয়েছে ‘বিনি সুতার মালা’। ভাসমান এই মঞ্চেই আঞ্চলিক গান, পাহাড়ি নৃত্য, গান ও বক্তব্য দিয়ে জানানো হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। গানে গানে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে প্রতিবাদের ভাষা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নদী ব্যবহারকারীদের মাঝে। চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন বুধবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিনি সুতার মালার ভাসমান মঞ্চ কর্ণফুলী নদী সদরঘাট চরপাথরঘাটা সাম্পান ঘাট, গাইজ্জার ঘাট, তোতার বাপের হাট, কালুরঘাট বোয়ালখালী হয়ে নগরীর ব্রিজঘাট, অভয়মিত্র ঘাট ও বাংলাবাজার এসে শেষ হয়। নগরীর সদরঘাট থেকে বিনি সুতার মালা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলার প্রধান সমন্বয়ক শাহেদুর রহমান শাহেদ আর সভাপতিত্ব করেন উদ্‌যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী ফরিদ। সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল। দ্বিতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাম্পান শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। এ রায় বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। শেষ দিন আজ বিকেলে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাম্পান খেলা, আর সন্ধ্যায় চরপাথরঘাটা সিডিএ মাঠে বসে চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলা। এতে স্থানীয় কয়েক ডজন সাম্পান সমিতি অংশ নেয়। সাম্পান বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের ঢল নামে। কর্ণফুলী নদী দখল-দূষণ নিয়ে কথা হয় সাম্পানের মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে। মাঝিরা বলেন, ‘নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। দূষণে এ নদীর প্রাণ যায় যায়। এ ছাড়া নদীর তীরে নানা সময়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। নদী না বাঁচলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। কর্ণফুলী নদী বাঁচলে আমরাও বাঁচব, দেশও বাঁচবে। উদ্‌যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী ফরিদ জানান, কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হবে। কর্ণফুলী হলো দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। অবৈধভাবে কর্ণফুলী নদীর তীর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্ণফুলীর পাড়ের প্রায় চার শরও বেশি কারখানার বর্জ্য, এই শহরের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মানববর্জ্য এবং পলিথিন-প্লাস্টিক প্রতিদিন নদীতে পড়ে। বর্তমানে নদীর প্রায় সাত মিটার গভীরতা নষ্ট হয়ে গেছে শুধু পলিথিনের কারণে। চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যাপক ইদ্রিস আলীর এক গবেষণায় দেখা যায়, অতীতে কালুরঘাট থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর প্রস্থ ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ মিটার। এখন শাহ আমানত সেতু এলাকায় প্রস্থ ৫২০ মিটার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

এই মহৎ ব্যক্তিটির নাম কাজী সফিউল হাসান সজিব মহরম কাজী জসীমউদ্দীনের ছেলে দেবিদ্বার উপজেলা এলাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের কৃতি সন্তান রমজান মাসে একটি মহৎ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি রোজার প্রথম দিন থেকে পুরো মাস ওনার প্রতিষ্ঠানের কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং আলতাজের হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ১২০ প্লেট ইফতার সামগ্রী একদম ফ্রি খাওয়াচ্ছে গাড়ির স্টাফদের কে এবং যাত্রীদেরকে। যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী আরো প্লেট বাড়ানো হবে তিনি বলেন রমজান মাসে সকল ব্যবসায়ীরা ইফতার সামগ্রী অনেক উচ্চ দামে বিক্রি করে অনেক অসহায় যাত্রী ইফতারের সময় হোটেলে না ঢুকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে কিনে খেতে পারে না এসব ভেবে আমি এই উদ্যোগটি নিয়েছি ইফতারের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন যাদের মনের মধ্যে এ নিয়ে কোন দ্বিধা বা সংশোচন না থাকে এই কারণে দান বাক্স মধ্যে টাকা দিয়ে যেতে পারবেন ওই টাকা মসজিদে দান করা হবে এটি দয়া বা দানের পর্যায়ে পড়বে না যেখানে রমজান মাসে এলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিত্যপূর্ণের দাম বাড়ানো এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয় সেখানেই এই মানুষটি এই মহতী উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার শ্রদ্ধা জানাই এই ভালো মানুষটিকে আল্লাহ পাক আপনার বাবাকে জান্নাত নসিব করুক এবং আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক।

এই মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রী ইফতার খাওয়াচ্ছেন কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট