পুলিশ র‌্যাব পরিচয় চাকুরী দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় মিজানুর রহমান

মোঃ আব্দুল কাদের
  • Update Time : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৩১ Time View

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই ¯স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। জনৈক ভুক্তভোগী একজন প্রবাসী। প্রায় ৫ মাস পূর্বে মিজানুরের সাথে তার দুবাইতে দেখা হয়। দুবাইতে বসবাসের প্রেক্ষিতে ধৃত আসামী মিজানুরের সাথে পরিচয় এবং সু-সম্পর্ক গড়ে উটে। আসামী মিজানুর দুবাই থেকে দেশে আসার সময় ভুক্তভোগীকে নিজ পরিবারের জন্য স্বর্নালংকার, ল্যাবটপ এবং মোবাইল পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ভুক্তভোগী ভিকটিম তার কথায় বিশ্বস্ত হয়ে কিছু স্বর্নালংকার, ল্যাবটপ ও মোবাইল বাড়ীতে পাঠানোর কথা বললে মিজানুর তখন বলে এতকিছু পাঠালে আপনি আমাকে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট করে দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি হয়ে বিমানের টিকেট করে দেয় এবং ডেল ব্রান্ডের ০১টি ল্যাবটপ যার আনুমানিক মূল্য ২,২০০০০/- টাকা, এ্যাপল ব্রান্ডের ০১টি আইফোন-১৪ মোবাইল যার আনুমানিক মূল্য ১,৪৮০০০/- টাকা ও ০২টি স্বর্ণের বার এবং ১০০ গ্রাম স্বর্ণের গহনাসহ মোট ৩০০ গ্রাম স্বর্ণ, যার আনুমানিক মূল্য ২২,৪৭,৫০০/- টাকা এগুলো দেশে নিয়ে ভিকটিমের ভাই মোঃ তাজ উদ্দিন এর কাছে দিতে বলে। মিজানুরকে উক্ত মালামাল বুঝে দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ভিকটিম তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ভিকটিম মিজানুরের বাড়ীতে থাকা তার মা-বাবার সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে তাদের ছেলে এই ধরনের কাজ করবে কেনো, তার ছেলে তো র‌্যাবে চাকরি করে। ভিকটিম তখন বিষয়টি মিজানুরের এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানায়। তারা উক্ত আসামীর কোন খোঁজ-খবর না পাওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। তখন ভুক্তভোগী ভিকটিম গত ১৯/০২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বাংলাদেশে এসে মিজানুরকে খোঁজ করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ভিকটিম গত ০৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমানিক ২১৩৫ ঘকিায় মিজানুরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দঁগাও থানাধীন চান্দঁগাও আবাসিক এলাকায় দেখতে পায়। তখন ভিকটিম ও সাথে থাকা আরো দুজন বন্ধুকে নিয়ে মিজানুরের কাছে গিয়ে তার মালামালের কথা জিজ্ঞাসা করলে মিজান বলে আমি এখন র‌্যাবের লোক এই বলে সে পকেট থেকে র‌্যাবের একটি ভূয়া আইডি কার্ড দেখায় এবং তার কোমড় থেকে ০১টি খেলনা পিস্তল বের করে বলে আমার কাছে মালামাল চাইলে তোমাকে জানে মেরে ফেলবো বলে হুমকী দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ভিকটিম বিষয়টি র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করলে, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি তাৎক্ষনিক আমলে নিয়ে একটি আভিযানিক দলের মাধ্যমে গত ০৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ আনুমানিক ২১৪৫ ঘটিকার সময় বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মিজানুর রহমান (২৫), পিতা-শফিকুর রহমান, সাং-পূর্ব চাম্বল, থানা-বাশঁখালী, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতআসামী বর্ণিত ঘটনা স্বীকার করে জানায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে মূল্যবান জামানত টাকা-পয়সা, স্বর্নালংকার, মোবাইল ও ল্যাবটপ ইত্যাদি আত্মসাৎ করে আসছে এবং তার দখলে থাকা মোবাইলের মধ্য হতে তার Mizan নামীয় টিকটক এ্যাকাউন্ট, যার প্রফাইল লিঙ্ক @afrahandafnan-এ পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদৃশ্য পোষাক পরিহিত ছবি রয়েছে মর্মে জানায়। এছাড়াও ধৃত আসামী মিজান প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ কিংবা মূল্যবান জামানত আত্মসাৎ এর লক্ষ্যে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর পরিচয় ও পোষাক পরিহিত ছবি ব্যবহার করত মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

এই মহৎ ব্যক্তিটির নাম কাজী সফিউল হাসান সজিব মহরম কাজী জসীমউদ্দীনের ছেলে দেবিদ্বার উপজেলা এলাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের কৃতি সন্তান রমজান মাসে একটি মহৎ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি রোজার প্রথম দিন থেকে পুরো মাস ওনার প্রতিষ্ঠানের কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং আলতাজের হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ১২০ প্লেট ইফতার সামগ্রী একদম ফ্রি খাওয়াচ্ছে গাড়ির স্টাফদের কে এবং যাত্রীদেরকে। যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী আরো প্লেট বাড়ানো হবে তিনি বলেন রমজান মাসে সকল ব্যবসায়ীরা ইফতার সামগ্রী অনেক উচ্চ দামে বিক্রি করে অনেক অসহায় যাত্রী ইফতারের সময় হোটেলে না ঢুকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে কিনে খেতে পারে না এসব ভেবে আমি এই উদ্যোগটি নিয়েছি ইফতারের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন যাদের মনের মধ্যে এ নিয়ে কোন দ্বিধা বা সংশোচন না থাকে এই কারণে দান বাক্স মধ্যে টাকা দিয়ে যেতে পারবেন ওই টাকা মসজিদে দান করা হবে এটি দয়া বা দানের পর্যায়ে পড়বে না যেখানে রমজান মাসে এলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিত্যপূর্ণের দাম বাড়ানো এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয় সেখানেই এই মানুষটি এই মহতী উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার শ্রদ্ধা জানাই এই ভালো মানুষটিকে আল্লাহ পাক আপনার বাবাকে জান্নাত নসিব করুক এবং আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক।

এই মাহে রমজান উপলক্ষে ফ্রী ইফতার খাওয়াচ্ছেন কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট