“দলিল যার জায়গা তার”

লেখকঃ কাউছার উদ্দীন আল-মালেকী
  • Update Time : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ২৩৮ Time View

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য; সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রামের রাজনীতির এক মানসপুত্র। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সুযোগ্য সন্তান। তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ছিলেন। বাবার হাত ধরেই তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে । বাংলাদেশের মানচিত্র যতটুকু ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধিও ততটুকু। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাজ খুবই জটিল ও ধীরস্থীর প্রকৃতির। জনমুখে শুনা যায়, বাংলাদেশের যে সমস্ত মন্ত্রণালয় দুর্নীতিগ্রস্থ তৎমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অন্যতম। মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা ও জটিল কাজকে সহজ করার লক্ষ্যে; ভূমিমন্ত্রণালয়ের এনালক পদ্ধতির কাজগুলো কে তিনি ডিজিটালাইজ পদ্ধতিতে রূপান্তর করেছেন; যা ইতিমধ্যেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অনলাইন সেবা চালু করে যথেষ্ট সুনাম কুঁড়িয়েছেন তিনি। এ সমস্ত সেবা পদ্ধতির কারণেই অনৈতিক আর্থিক দেনদেনের মাত্রা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। যেমন, ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, ভূমি তথ্য অনুসন্ধান, খতিয়ান অনুসন্ধান, নামজারি খতিয়ান, ভূমি রেকর্ড, কল সেন্টার, ডিজিটাল সার্ভেয়ার ও অনলাইন মামলা রিভিউ অনুসন্ধানের মত নানান সেবা তাঁর হাত ধরেই চালু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ইমেজ সংকট দূর করতে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। তম্মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন অফিস ভিজিট করে গ্রাহকের ভোগান্তি ও কর্মকর্তাদের অস্বচ্ছতার তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করেছেন; যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ম্যান টু ম্যান ট্যাচ পলিসির মাধ্যমেই দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব যা তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি মনে করেন, ধারাবাহিক পদ্ধতিতে এগুতে পারলেই সবকিছু করা সম্ভব; তবে অদক্ষ ও অসৎ কর্মকর্তাদের নিয়ে নয়। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি বিষয়ে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করেছেন। যেমন জোরপূর্বক ভূমিদখল। জোরপূর্বক ভূমিদখল কে বেআইনী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করার জন্য মহান সংসদে প্রস্তাব রেখেছেন একাধিকবার। বিবিসির এক স্বাক্ষাৎকারে জবর দখল মালিকানা কে ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এ অমানবিক আইন অতি জগন্য ও ঘৃর্ণিত কাজ। বিবিসির এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই দলিল বিহীন ভূমি দখল আইন বাতিল করা হবে। জোর যার মুল্লুক তার এ প্রবাদটির সাথে এ দেশের মানুষ বেশ পরিচিত। এ আইন পাশ হলে ১৬ কোটি বাঙ্গালী ; ভূমিদস্যু তথা মাফিয়ার হাত থেকে রেহাই পাবে। হাজারো নির্যাতিত পরিবার ফিরে পাবে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। বলাবাহুল্য যে, যার মধ্যে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নেই তার দ্বারা এ কাজ করা অসম্ভব। তিনি টাকার জন্য রাজনীতি করেন না; মাটি ও মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি একজন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় সুবিধা সুবিধা গ্রহণ না করে মন্ত্রণালয়ের ইমেজ কে সমুন্নত রেখেছেন। বিবিসির এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতি আমার ফ্যাশন; ব্যবসা আমার পেশা। রাজনীতিকে তিনি মানবসেবা হিসেবে গ্রহণ করেছেন; এজন্য তিনি জোর পূর্বক ভূমিদখলদারদের বেঁধে রেখে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ ও প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। আসলেই তিনি রাজনীতিকে বিত্তশালী হওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার না করে জনগণের সেবা করার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কারণ তিনি একজন আর্দশবান পিতার সন্তান। একজন সফল ব্যবসায়ী যে রাজনীতেও সফল হতে পারে এটি তিনি জাতিকে দেখিয়ে দিয়েছেন। যেটি আজও পর্যন্ত অনেকেই প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের অর্পিত দায়িত্ব কে তিনি জীবনের একটি সেরা অর্জন ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে সানন্দে গ্রহণ করেছেন। এজন্য শত সমস্যায় জর্জরিত মন্ত্রণালয় কে একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ মহান মানুষটি । আশা করি চট্টগ্রামের এ মহান নেতার হাত ধরেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সোনালি অধ্যায় সূচিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category