আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম এর ব্যাপক গনসংযোগ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এম আর তাওহীদ
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
  • ১৪৬ Time View

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মুহাম্মদ বদিউল আলম এর ব্যাপক গনসংযোগ। চট্টগ্রাম ১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) যুবসমাজের পথ প্রদর্শক মুহাম্মদ বদিউল আলম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটিয়া আসনে ব্যাপক গনসংযোগ করে পটিয়ার আপামর জনসাধারণের আস্তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। যখন সময় পান পটিয়া ছুটে আসেন নাড়ির টানে। মুহাম্মদ বদিউল আলম এরশাদ–খালেদা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাদিক বার মামলা-হামলা জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। মুহাম্মদ বদিউল আলম ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এতে তিনি বাংলাদেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পরে বিভিন্ন আন্দোলন তিনি রাজপথে অগ্রণী ভুমিকা পালন করায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরের সম্মেলনে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। পটিয়া আসনে যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলমের ব্যক্তি ইমেজ দলীয় পার্ফমেন্স রয়েছে সর্বত্রে। সাংগঠনিক দক্ষতায় নিজেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্টিত করতে সক্ষম হয়েছেন। পটিয়ার কোন মানুষ ঢাকায় বিপদে পড়লে তিনি ছুটে যান এবং সমস্যা সমাধান করেন বলে পটিয়ার লোকজনের অভিমত। শুধুু তাই নয় দুই বার পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে তিনি বিজয়ী হলেও তার বিজয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে পটিয়া পৌরসভার ভোটারদের অভিযোগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে তিনি সুনিশ্চত বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, আমার স্বপ্ন পটিয়াকে সিটি অব জয়ে রুপান্তর করা। এবং আইনি জটিলতা দুর করে পটিয়াকে জেলার কার্যকরণ চালিয়ে পটিয়ার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও মানুষের সেবা করা। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের পরামর্শ নিয়ে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে দুর্বার গতিতে সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে দিয়েছেন এতে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, মানুষের জীবনের ৫টি মৌলিক চাহিদা যেমন অন্ন, বস্তু, বাসস্হান, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর। কেন না তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দেশ ও জাতীর ভাগ্য উন্নয়নে তিনি নিরলস ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তাছাড়া তিনি হত-দরিদ্র মানব জাতির জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে পটিয়ার প্রত্যেকটি গ্রামে-মহল্লায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছুটে গেছেন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে। পটিয়া কে দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের তৃর্ণমুল নেতাকর্মী, নবীন-প্রবীন ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দিচ্ছেন ফলে দিন দিন চট্টগ্রাম ১২ (পটিয়া) তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতির অবিজ্ঞ মহল মনে করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেলে নিশ্চত বিজয়ী হবেন। তার মধ্যে নেই কোন অহংকার। সদালাপী এই নেতা অতি সহজে মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন তার নেতৃত্বগুণ বলা যায়। সব শেষে তিনি জানান, আল্লাহ্ এবং দলীয় সভানেত্রীর উপর আমার আস্তা বিশ্বাস রয়েছে। একটি বার সুযোগ পেলে পটিয়ার উন্নয়নের মানচিত্র হবে সিটি অব জয়। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম ১/১১ সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবীতে প্রথম পোস্টার ছাপিয়ে ব্যাপক প্রচার করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ছিলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগের সাম্ভব্য দলীয়প্রার্থী। ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন স্কুল জীবনেই। ১৯৮৩ সালে তিনি পটিয়ার সুচক্রদণ্ডী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর তিনি ছাত্রলীগ পটিয়া কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল তিনি পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫-৮৭ মেয়াদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, ১৯৮৭-৮৯ মেয়াদে গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৮৯-৯১ মেয়াদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯২-৯৪ মেয়াদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ১৯৯৪-৯৮ মেয়াদে সহ-প্রচার সম্পাদক ও ১৯৯৮-২০০২ মেয়াদে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৩ সালে তিনি যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ঢাকা বিভাগের দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বরিশাল বিভাগের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুহাম্মদ বদিউল আলম। ১৯৯৫ সালে সে সময়কার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অসংখ্য বার।পটিয়ার মানুষ আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি মুহাম্মদ বদিউল আলম কে দলীয় নমিনেশন দিয়ে পটিয়ার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ করে দিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category