সুপ্রিম পার্টির সমাবেশে সরকারের দুইজন মন্ত্রীসহ পাঁচজন সংসদ সদস্য। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) সমাবেশ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) সমাবেশে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুজন মন্ত্রীসহ চারজন সংসদ সদস্য। তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাজাহান খান ও নুরুল আমিন। এ ছাড়া এই সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শরিক ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়ার উদ্যোগে বিএসপির এই সমাবেশ হয়। এ সমাবেশের নাম দেওয়া হয়, ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও শান্তি মহাসমাবেশ’ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ১৭ আগস্ট বিএসপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের চূড়ান্ত সনদ দিয়েছিল। একই দিন ইসির নিবন্ধন সনদ পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনও (বিএনএম)। এর মধ্যে বিএসপির নির্বাচনী প্রতীক একতারা ও বিএনএমের নোঙর। দল দুটির নিবন্ধন নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা রয়েছে রাজনীতির মাঠে। সে সময় ১০টি দল একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছিল, সরকারের নির্দেশনায় এবং বিভিন্ন এজেন্সির পরামর্শে ‘ভুঁইফোড়’ দুটি দলকে ইসি নিবন্ধন দিয়েছে। বিএসপির সমাবেশে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের যেন রক্ষা করেন। আমরা যেন সঠিক পথে থেকে কোরআন ও সুন্নতবিরোধী কোনো কাজ না করি। দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং কেউ কেউ নির্বাচন ভন্ডুল করে তাঁবেদারি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে অভিযোগ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন ভন্ডুল করে দেশে হামিদ কারজাই (আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট) মার্কা তাঁবেদারি সরকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়িত হবে না। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক আর না করুক, দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।