দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে ৩ জানুয়ারি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তৌহিদুল ইসলাম রাসেল
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৯ Time View

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে ইসি বদ্ধপরিকর। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে। নির্বাচনী সরঞ্জামও ধাপে ধাপে জেলাগুলোয় পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পরিবেশও রয়েছে। আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হবে।’তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের সূচি রয়েছে। সিইসি ও অন্য কমিশনাররা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব রকম অগ্রগতি অবহিত করবেন। এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দিক থেকে কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা থাকলে কমিশন তা গ্রহণ করবে।’ ইসির একাধিক সূত্র জানায়, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। তখন থেকে ভোটের দিন হিসেবে ৪ জানুয়ারিকে সামনে রেখেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর তপশিল ঘোষণার কথা ছিল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই লক্ষ্যেই অটল ছিল কমিশন। তবে গত অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যাওয়ায় কমিশনকেও নতুন করে ভাবতে হয়েছে। নানা দিক বিবেচনায় তপশিল ঘোষণা পিছিয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেওয়া হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণের তারিখ এক দিন এগিয়ে আনার পেছনে বিবেচনায় এসেছে ভিন্ন বিষয়। ৪ জানুয়ারি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ কারণে ওই দিন ভোট গ্রহণ না করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে কমিশন। সেক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী নানা আনুষ্ঠানিকতা ও সম্ভাব্য আইনি প্রক্রিয়া বিবেচনায় সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত তারিখের এক দিন আগে ৩ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের আগে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় রেখে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের জন্য যৌক্তিক সময় রাখতে হয়। প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ, মনোনয়নপত্র জমায় ১০ থেকে ১৫ দিন, বাছাইয়ের জন্য চার দিন, আপিল নিষ্পত্তি করতে চার থেকে সাত দিন এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য সাত দিনের মতো সময় দেওয়া হয়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর আগে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র জমা থেকে ভোটের তারিখ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪২ দিন এবং সর্বোচ্চ ৭৮ দিন সময় রেখে তপশিল ঘোষণার নজির রয়েছে। এবার নির্বাচনের আগে ৪৯ দিনের মতো সময় রেখে তপশিল ঘোষণা করা হচ্ছে।ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনাও শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার জন্য ইসির হাতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানে দেখানো পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনাররা এরই মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের সম্পূর্ণ অনুকূল না হলেও কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেন সিইসি নিজেই। চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সামর্থ্য ও ম্যান্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকটের সমাধান করে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবুও সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে নির্বাচন কমিশনকে ভোট আয়োজন করতে হবে।’ এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। কারণ তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।’ ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনি কাঠামোতে বেশ কিছু সংস্কার করা হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন দলের নিবন্ধনের কাজও শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু কাজ চলমান। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা, আসনওয়ারি ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রাথমিক ধাপ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। ও বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে সরকারবিরোধী বিএনপি ও তাদের মিত্ররা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত ভালো একটি কাজে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ০৫/০৪/২০২৪ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কাতার চ্যারিটির পক্ষ থেকে ৫০০ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী প্রদান উপহার প্রদান করেন ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আব্দুল মতিন সাউদ ভাই ও ফুলকুড়ি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ভাই ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই ছিলেন পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতায়‌ ছিলেন এলাকার সকল ছোট ভাইয়েরা। এবং এই ঈদ সামগ্রীর আয়োজক ছিলেন আমজাদ হোসেন বাবলু ভাই এডমিন কাতার চ্যারিটি

পাঁচ শতাধিক পরিবার কে ঈদ উপহার দিলো কাতার চ্যারিটি