চট্টগ্রামের পটিয়ায় ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী দীপক ব্যানার্জীগত মঙ্গলবার বিকেলে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী দীপক ব্যানার্জী হাজির হয়ে মামলার জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাররাহুম এর বিচারিক আদালত তা আমলে নিয়ে সি.আইডি চট্টগ্রাম কে সরেজমীন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। যার সি.আর মামলা নং ৬৯০/২৩। এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মিলটন ভট্টাচার্য্য, টিটন ভট্টাচার্য্য, লিংকন ভট্টাচার্য্য, নূর মোহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম সুমন, কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসীম, ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ দৌলতি, সুজন বড়ুয়া, শফিকুল আলম, ওয়াহিদুল আলম, জাগির হোসেন ও ফরহাদ হোসেন রিটন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীপক ব্যানার্জি দৌহিত্র সূত্রে কিছু জায়গার মালিক হন। মামলায় উল্লেখিত ব্যাক্তিরা তার জায়গাগুলো আত্মসাত করার জন্য তাকে ওয়ারিশ হিসেবে না দেখিয়ে অন্যের নামে জন্মসনদ ও ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে সবার যোগসাজসে জায়গা গুলো নিজেদের নামে করে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে দীপক ব্যানার্জী জানান, আমি যখন জানতে পারি জাল জালিয়াতির বিষয়ে তখন আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের নিকট চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সুরাহা চাইলে ২০২০ সালে দায়িত্বরত চট্টগ্রামের পরিচালক ইয়াসমিন পারভিন তীবরীজী সরেজমীনে ছনহরা ইউনিয়নে স্থানীয়দের নিয়ে শুনানি করে আমাকে বৈধ ঘোষণা করেন। এরপরও বিবাদীরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে আমাকে আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য অন্যের নামে জাল সনদ, খতিয়ান তৈরি করে।আমি এ বিষয়ে ইউএনও কে চিঠি দিয়ে সুরাহ চেয়েও পাইনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে জানালে তিনি ইউএনও কে তাগাদা দিলেও আমরা কোন সুরাহ পাইনি। তাই আমি বাধ্য হয়ে এ মামলা করলাম। আমি আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলা হয়েছে তা আমি এই প্রথম আপনার নিকট শুনলাম। মামলায় যে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমি ত কারোর ক্ষতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে একপক্ষ ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছে। আমি যদি নির্দোষ হই আমি অবশ্যই এই মামলা থেকে খালাস পাব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।