কলেজছাত্রী থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন স্বর্ণার

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬১ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা একজন তরুণ উদ্যোক্তা। করছেন পড়ালেখা। সমালাচ্ছেন সংসারও। পাশাপাশি একটি দাতব্য সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। এতো কিছু সামলানোর পরে আরো বৃহত্তম পরিসরে মানবসেবার ব্রতী নিয়ে এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন জনপ্রতিধি হওয়ার। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান এই তরুণী। শরণখোলা উপজেলার বাসিন্দা, ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও দাতব্য সংস্থা মা’ মমতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃসাজিদ হাসান রানার সহধর্মিনী এই জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা। স্বর্ণার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও বৈবাহিক সূত্রে তিনি এখন শরণখোলারই বাসিন্দা। স্বামী ডাঃ সাজিদ হাসান রানার মানবসেবামূলক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হয়েই তিনি জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হয়েছেন। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচন কেন্দ্রিক আলাপ-আলোচনা ও নিজস্ব পরিসরে গণসংযোগও শুরু করেছেন। তরুণ বয়সে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাইলে জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা বলেন, মূলত আমার স্বামীই আমার প্রেরণা। মা’ মমতা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমার স্বামী অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগীতা করে আসছেন। আমি তার সংস্থারই ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ও রূপসী বাংলা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি হাজার হাজার মানুষকে বিনা স্বার্থে সার্বিক সহযোগিতা করছি তাই খুব কাছ থেকেই প্রতিনিয়ত গ্রামের মানুষের অসহায়ত্ব দেখে আসছি। তাছাড়া আমার জন্ম জারনৈতিক পরিবারে। আমার দাদা-বাবা ও চাচারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ছোটো বেলা থেকেই তাদেরকে মানুষের সেবা করতে দেখে দেখে বড় হয়েছি। তাই আমার সংস্থার বাইরেও আমি নানাভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। শরণখোলা থেকে যদি অসুস্থ কেউ ঢাকায় গিয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারেন, তখন তাদেরকে চিকিৎসা খরচসহ সেই রোগীর সেবা যত্ন করে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। এছাড়া নিজ উদ্যোগে প্রতিবছর শরণখোলার অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করি। জনপ্রতিনিধি হলে এসব অসহায় মানুষের জন্য আরো বড় পরিসরে কিছু করা সম্ভম হবে বলে আমি নির্বচনে অংশগ্রহন করতে চাই। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার কি কি উন্নয়ন করবেন জানতে চাইলে ময়মনসিংহ ডিগ্রি কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় তা বাস্তবায়নই আমার মূল লক্ষ্য। আমি নির্বাচিত হলে শরণখোলার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি মিনি গার্মেন্ট করব। এছাড়া আমার স্বামীর সহযোগীতায় এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তরুণ উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী স্বর্ণা বলেন, আমি যদি নির্বাচিত নাও হতে পারি, তবুও আমি মানবসেবা থেকে পিছপা হবো না। জনপ্রতিনিধি না হয়ে অসহায়দের জন্য এখন যেসব কাজ করছি ভবিষ্যতেও এসব কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। এজন্য। আমি শরণখোলাবাসীর ভালোবাসা ও সহযোগীতা চাই। স্ত্রীর জনপ্রতিনিধি হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সমাজসেবক ও ডাঃ সাজিদ হাসান রানা বলেন, শরণখোলা নিয়ে আমার যে স্বপ্ন তা স্ত্রীকে দিয়ে বাস্তবায়ন করাতে চাই। আমার স্ত্রী বয়সে তরুণ হলেও তার মানবসেবা করা উচ্ছাশক্তি প্রবল। আমাদের সংস্থার মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কল্যাণে যেসব কাজ করেছি, জনপ্রতিনিধি হলে সেই হাতটা আরো শক্তিশালী হবে। তখন ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত ভালো একটি কাজে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ০৫/০৪/২০২৪ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কাতার চ্যারিটির পক্ষ থেকে ৫০০ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী প্রদান উপহার প্রদান করেন ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আব্দুল মতিন সাউদ ভাই ও ফুলকুড়ি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ভাই ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই ছিলেন পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতায়‌ ছিলেন এলাকার সকল ছোট ভাইয়েরা। এবং এই ঈদ সামগ্রীর আয়োজক ছিলেন আমজাদ হোসেন বাবলু ভাই এডমিন কাতার চ্যারিটি

পাঁচ শতাধিক পরিবার কে ঈদ উপহার দিলো কাতার চ্যারিটি