এবার লোহাগাড়ায় ” সেবাই ধর্ম ফাউন্ডেশন” এর নিরাপত্তার কথা ভাবলো রুবেল।
জমিরউদ্দীন, সিনিয়র( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন নিয়ে জটিলতা এবং করোনায় মৃত লাশ থেকে স্বজনরা দূরে। এমনকি মৃত্যুবরণকারীদের দাফনে যখন পরিবার বা স্বজনদের খোঁজ নেই, ঠিক তখনি মৃত ব্যক্তিদের দাফনের কাজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেচ্ছায় এগিয়ে আসছে লোহাগাড়া উপজেলার “সেবাই ধর্ম ফাউন্ডেশন” নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্য। এই সংগঠন গত দুই তিন মাস থেকে মানবতার সেবাই কাজ করে চলেছে। তাছাড়া এই সংগঠনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। তাদের কার্যক্রম দেখে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার তাদের নিরাপদে কাজ করার জন্য পিপিই, মাস্কও বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে।
এবার সংগঠনটির মানবিক সদস্যদের কথা চিন্তা করে শারিরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুরক্ষা সামগ্রী উপহার দিয়েছেন সৌদি আরব জেদ্দা বঙ্গবন্ধু পরিষদ আল জাহরা সভাপতি ও, বঙ্গমাতা বেগম ফজেলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সহ-সভাপতি হোসেন রিয়াদ মোহাম্মদ রুবেল।
গতকাল( মঙ্গলবার) সন্ধায় লোহাগাড়া উপজেলা সদরের রশিদের পাড়া এলাকার কৃতি সন্তান এ.আর টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী হোসেন হোসেন রিয়াদ মোহাম্মদ রুবেল সেবাই ধর্ম ফাউন্ডেশন এর সহকারি টিম লিডার মোহাম্মাদ আলমগীর, তারেক রহমান নিরব ও আনোয়ার হোসেন হাতে বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী উপহার তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিহান পারভেজ চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গমাতা শেখ ফজেলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের বোরহান সোবাহান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগ্রামী যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ লিটন, শহিদুল ইসলাম, শাহেদ, ফরহাদ,আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রিপন ও প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সৌদি আরব জেদ্দা বঙ্গবন্ধু পরিষদ আল জাহরা শাখার সভাপতি ও বঙ্গমাতা বেগম ফজেলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি হোসেন রিয়াদ মোহাম্মদ রুবেল বলেন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুবরণ করলে তাদের দাফনে জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে লোহাগাড়ার সামাজিক সংগঠন ‘সেবাই ধর্ম ফাউন্ডেশন’ ।লোহাগাড়ার যে কোন এলাকায় করোনা সংক্রান্ত কারণে কোন ব্যক্তি মারা গেলে সেখানে যাবে দলটির সদস্যরা আমার বিশ্বাস। এমনকি লোহাগাড়ার যে কোন এলাকায় করোনা সংক্রান্ত কারণে কোন ব্যক্তি মারা গেলে সেখানে যাবে দলটির সদস্যরা। অবশ্য মৃত ব্যক্তির স্বজনদের ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের এ কার্যক্রম চলবে।