পুলিশের দায়ের করা মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সাংবাদিক আশরাফ এর মুক্তি।
১৬ই ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সকাল আনুমানিক ১০টা দিকে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড থানাধীন বাইপাসে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রো গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশবক্সে থাকা কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলামীন তাকে সিগনাল দেয় তারপরে এই গাড়িটা কে সরকারি কাজে ব্যবহার করার জন্য কাগজপত্র জব্দ করেন। একপ্রকার গাড়িটাকে ছাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন সার্জন আলামিনের কাছে আশরাফ কোন প্রকারের গাড়ি ছাড়তে রাজি নয় সার্জন আলামিন।
পরে আশরাফ তার নিজের পরিচয় পত্র দেখালে সার্জন আলামিন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আইনের আওতায় আনা হয় সেই সময় সার্জন আলামিন মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে সীতাকুণ্ড থানা কে অবগত করলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম জসিম সীতাকুন্ড থানায় নিয়ে যান।
পরবর্তী সার্জন আলামিন এবং আশরাফ এর মধ্যে সংশোধনের বিষয় নিয়ে একপ্রকার মীমাংসা হয়।
আশরাফ তার ভুল বুঝতে পেরে সার্জন আল-আমিনকে অনুরোধ করেন এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার জন্য আলামিন রাজি হয়।
কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম জসিম বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেন কোন প্রকারে মীমাংসা করতে রাজি নয় তিনি।
পরে আলামিন বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায়
আশরাফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় কোর্টে চালান করা হয় আশরাফকে
পরে তিনি জামিনে আসেন টানা দুই বছর হাজিরা দিয়ে আসছেন আশরাফ।
চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলায় মোট ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের পক্ষে
স্বাক্ষরকারী তিনজন পুলিশ।
২ জন পাবলিক
সার্জন আলামিন। সাব ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম জসিম। আরো একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে আরো দুই পাবলিক সাক্ষ্য আসেন সেই সাক্ষ্য মোতাবেক প্রমাণিত হয় সাংবাদিক মোহাম্মদ আশরাফ তিনি নির্দোষ ছিলেন।
সাক্ষী গনের জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে সাংংবাদি কআশরাফ নির্দোষ।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সার তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে আজ রায়ের দিন ধার্য করেন আজ ২৫ /১১ /২০২০ দুপুর ১:২৫ মিনিট সময়ে সাংবাদিক মোঃ আশরাফ কে এই মামলা থেকে খালাস দেন।
মোঃ আশরাফ মামলা খালাস পেয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি এক বক্তব্যে বলেন আমি যদি দোষী হতাম তাহলে আজ আমার সাজা হত।
আল্লাহ পাক ভাল জানেন আসলে কি আমি দোষী না নির্দোষ। শুধু আমি নয় এমন আরও অনেকেই এভাবে পড়ে আছে আমাদের দেশে। আমাদের দেশের আইন আরও কঠোর হওয়া দরকার তদন্ত আরো বাড়ানো দরকার। শুধু আইন প্রয়োগ করলেই হয় না।
আইনের প্রতি ভালো একজন তদন্ত কর্মকর্তা থাকা দরকার আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মাননীয় সরকার প্রধানের কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাদের দেশে তদন্ত কর্মকর্তা আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।