পীরে কামেল ছৈয়দ হাফিজ মুনিরুদ্দীন নুরুল্লাহ রহ.’র জীবন ও কর্ম

কর্ণফুলী ডেক্স
  • Update Time : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৮৪ Time View

লেখক- কাউছার উদ্দীন আল-মালেকী

তরীক্বত জগতের হাজারো তারকারাজির মাঝে হজরত ছৈয়দ হাফিজ মুনিরুদ্দীন নুরুল্লাহ রহ. এক জ্যোতির্ময় তারকা। তাঁর সংস্পর্শে হাজারো মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ধন্য হয়েছেন। পীর-মুরিদী সমাজ ব্যবস্থার নবজাগরণকারী ও নবরূপ দানকারী এ আধ্যাত্মিক কিংবদন্তী মহাপুরুষ “হাফিজ মুনিরুদ্দীন নুরুল্লাহ” নামে সকলের কাছে সমধিক পরিচিত ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তরীক্বত জগতের এ খ্যাতিমান মহাপুরুষ সম্ভাব্য ১৮৮১ সালে তাঁর মহীয়সী মাতা মরহুমা গোলজার খাতুন রহ. এবং বুজুর্গ পিতা সাইয়্যিদ অছিউদ্দীন রহ.’র ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতার কাছে ৪/৫ বছর বয়সে কুরআনুল করিমের প্রাথমিক জ্ঞান তথা আরবী কায়দা ও আমপারা শিক্ষা নেন এবং “গাউছুল আজম” খ্যাত পীরে তরীক্বত হজরত মাওলানা আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী রহ.’র কাছ থেকে কুরআনুল করিমের প্রথম ছবক নিয়ে ধন্য হন। চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ কদম মোবারক হেফজ খানায় হজরত হাফেজ জান আলী রহ.’র তত্ত্বাবধানে কুরআনুল করিমের হিফজ শেষ করেন। তরীক্বতের ছবক ও বায়াত গ্রহণ করেছেন তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের তরীক্বত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমামুত তরীক্বত হজরত সাইয়্যিদ আবদুল বারী শাহ্ রহ.’র সুযোগ্য খলিফা; হামেদীয়া বারিয়া সিলসিলার পীর হযরতুলহাজ্ব হাফেজ হামেদ হাছান আলভী রহ.’র কাছ থেকে। মনোমুগ্ধকর আচরণ ও বহুমাত্রিক প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। অল্পেই তুষ্ট থাকতেন সবসময়। বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি বিপুল অর্থের মালিক ও ছিলেন না। বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মিত ঘরে অতীব গরীবি হালতে বসবাস করতেন। গরীবদের মেহমানদারি ও সাহায্য-সহযোগিতা করতে বেশ পছন্দ করতেন। অভাব অনটনে, বিপদেআপদে ও সংকটে আল্লাহর উপর ভরসা রাখতেন সবসময়। তাঁর পুরা হায়াতি জিন্দেগী ছিলো আমল ও রেয়াজতে ভরা। ফরজ ইবাদাতের পাশাপাশি নফল ইবাদাত ও সুন্নাতের প্রতি গভীর মনোযোগী ছিলেন। প্রত্যেহ ১২ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজে ১৫ পারা এবং পাঁচ হাজার বার জিকিরে জলী তথা দু’দিনে ত্রিশ পারা কুরআন খতম এবং দশ হাজার বার জিকরে জলী করতেন। ইন্তেকালের ২/৩ বছর পূর্ব থেকে বার্ধক্যের কারণে জিকিরে জলী করতে না পারায় জিকিরে খফী করতেন। ফজরের নামাজান্তে ওয়াজীফা পাঠ শেষ করে সালাতুল ইশরাক নামাজ আদায় করে সকাল ৮/৯ ঘটিকা পর্যন্ত মোরাক্বাবা করতেন; এমনকী প্রতি ওয়াক্ত নামাজান্তে দেড়-দুই ঘন্টা মুরাক্বাবা-মোশাহাদা করতেন। অনেক সময় এশারের নামাজের পর মুরাক্বাবায় ও তাহাজ্জুদ নামাজে পুরা রাত অতিবাহিত করতেন! দীর্ঘসময় মুরাক্বাবা করার কারণে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত! মুরাক্বাবা করার সময় নিম্মস্বরে কান্নার আওয়াজও শুনা যেত; যার ফলে চোখে ফুলা চলে আসত! তাঁর এ কঠিন রেয়াজতের সময় আল্লাহ তা’লা ইলহাম করে তাঁকে জানাতেন, “আমি যে গফুরুর রাহীম তা কারো কাছে শুন নাই?” তারপরও তিনি মঞ্জিলে মকছুদে পৌঁছার জন্য বিরামহীন ভাবে রেয়াজতে মশগুল থাকতেন। মোরাক্বাবা আরবী শব্দ; বাংলায় ধ্যান এবং ইংরেজিতে মেডিটেশন। মোরাক্বাবা যদিও নফল ইবাদাত কিন্তু এর তাৎপর্য হাদিসের আলোকে অত্যধিক। তাফসীরে দুররে মানছুরের ৪র্থ খন্ডের ৪১০ পৃষ্ঠায় “এক ঘন্টা মোরাক্বাবা কে ষাট বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম বলেছেন;” সিররুল আসরারের ২৪ পৃষ্ঠায় “এক ঘণ্টা মোরাক্বাবা কে সত্তর বছরের ইবাদত বান্দেগীর চেয়ে উত্তম বলেছেন।” তিনি মাহে রমজানুল মুবারকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে “লা ইলাহা ইল্লাহু” যিকিরে খফী সুবহে সাদিকের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত করতেন; তারপরে সেহরী খেতেন। রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন; মাঝেমাঝে পুরা রমজানও। কখনোও ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ে দশদিন ইতিফাক করতেন। বছরের প্রায় সময় রোজা রাখতেন। “মান জাদ্দা ও জাদা’ অর্থাৎ ‘যে চেষ্টা করে সে পায়।” মানুষ যা চাই, আল্লাহ তা-ই-দেন। সর্বকাজের মধ্যেও তরিক্বতের ছবকগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদায় করে বেলায়তের উচ্চস্তরে পদার্পণ করেন। যার দরুন ১৯১৪/১৫ সালের এক শুভক্ষণে স্বীয় পীর সাহেব রহ. হালিশহর দরবারে তাঁকে সাত তরীক্বার খেলাফত বখশিশ করেন। মানুষকে হেদায়াতের পথে আনার ক্ষেত্রে খেলাফত মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। তাই এটি ছিলো তাঁর জীবনের একটি সেরা অর্জন। তাঁর কাজকর্মে ও রেয়াজতে পীর সাহেব সদা সন্তুষ্ট ছিলেন, কারণ রুগ্ন কলবদারীদের আত্মিক উন্নয়নে তাঁর কৌশলিক পদ্ধতিগুলো যথেষ্ট ফলপ্রসূ ছিলো। সাংসারিক আয় রোজগার থেকে মেহমান ও মুরিদানদের খাওয়াতেন এবং তাঁদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য ও থাকার জন্য একটি তাবলীগ ঘর নির্মাণ করেন। বস্তুতঃ নিজের বাড়ী, স্থানীয় মসজিদ ও তাবলীগ ঘর কে একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য যে, মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য, মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য, মানুষ কে শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অর্থাৎ প্রতিটি সেক্টরে বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানা আছে; কিন্তু মানুষের আত্মিক উন্নতি বা আত্মা শুদ্ধকরণের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই! আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ব্যক্তি তথা আল্লাহর ওলীদের শিক্ষার মাধ্যমে অন্তরের কুপ্রবৃত্তি দূর হয়ে আত্মিক উন্নয়ন সাধিত হয়। এ অসাধারণ মানুষটির অসাধারণ উদ্যোগে, আত্মশুদ্ধির সূতিঘর হিসেবে আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা দিতেন। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক হতে শুরু করে নানান বয়সী শিক্ষিত ও অশিক্ষিত এমন কী গন্ড মূর্খ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হতে পারতেন। আল্লাহকে পেতে চাইলে বই-খাতা-কলমের দরকার নেই; আল্লাহর প্রেমে নিবেদিত একটি স্বচ্ছ অন্তরের প্রয়োজন। যেমনিভাবে কুরআনে আল্লাহ তা’লা বলেছেন, “আমি আমার বান্দার অন্তর দেখি শুধু।” মানুষের ধনদৌলত,যশখ্যাতি, শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্যতা আল্লাহর কাছে মূল্যহীন; শুধু মাত্র ঈমান ছাড়া। তিনি মানুষের জন্য যা যা করতেন সবটুকু আল্লাহর ওয়াস্তে করতেন। মানুষের অন্তরে ঈমানের নূর বা হেদায়াতের আলো প্রজ্জলিত হলে তিনি অত্যধিক খুশি হতেন। এজন্যই তাঁর এত ত্যাগ-তিতিক্ষা! এ বাগানে কত গোলাপ ফুটেছে! যাদের সুভাসে সুভাসিত হয়েছে সারা বিশ^জাহান। তিনি খুবই দয়ালু ছিলেন। তাঁর রূহানী সন্তানদের দুঃখে দুঃখিত হতেন; সুখে সুখী হতেন। তাঁর রূহানী সন্তানদের উপর কেউ অন্যায়ভাবে জুলুম করলে তিনি তার প্রতিকারের জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করতেন। তিনি খুবই শান্ত মেজাজী ছিলেন, বাড়াবাড়ী মোটেও পছন্দ করতেন না; সবসময় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতেন। হজরত আজমগড়ী রহ. তাঁকে খুব স্নেহ করতেন, যার প্রমান এ উক্তি থেকে প্রতীয়মান হয়, “মেরা মুনীর মেরী জান হ্যায়।” খেলাফতের পর থেকেই ইবাদাত-বান্দেগী ও মুরিদান-মুহিব্বিনদের শিক্ষাদানে সদাব্যস্ত থাকতেন। তরীক্বতে দাখিল ইচ্ছুকদের প্রথমে মুরিদ বা বায়াত করতেন না। প্রথমে ওয়াজিফা পাঠ করতে তালিম দিতেন। আত্মিক উন্নতি হলে যাচাই বাচাই ছাটাই করে মুরিদ করতেন। তালিবদের সামনে তরীক্বতের বিষয়টিকে জটিলভাবে উপস্থাপন করতেন, যাতে আবেগতাড়িত ও অলস ব্যক্তিগণ তরীক্বতে দাখিল না হয়। কারণ তরীক্বত একটি কঠিন কাজ। যা ঠিকমত পালন করলে ঈমানদার কিন্তু গাফেলাতি বা ছবক আদায় না করলে বেঈমান! তিনি সব সময় বলতেন, যারা তরীক্বতের কাজ করে না তারাও জান্নাতে যাবে; তবে কেউ যদি তরীক্বতের ছবক নিয়ে আদায় না করে তাহলে সে জাহান্নামে যাবে! কারণ সে সিলসিলার উর্ধ্বতন পীর-মাশায়েখদের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। তিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের তাওয়াজ্জুহ ও কুরআনুল করিমের ফয়েজ দিয়ে তাদের অন্তরকে রূহানি সম্পদে ভরপুর করে দিতেন। আছরের নামাজের পর মুরিদদের সাথে নিয়ে মুরাক্বারা করতেন। মুরাক্বাবার হালত কেমন হতে পারে তা স্বচক্ষে এবং অন্তর চক্ষু দিয়ে না দেখলে কেউ অনুভব করতে পারবেনা। তাওয়াজ্জুহ বলতে বুঝায় আত্মিক শক্তি বা প্রভাব। পীর আউলিয়াগণ তাঁদের অন্তরস্থিত আত্মিক শক্তি বা প্রভাবের সাহায্যে গুনাহগার মুরিদদের গুনাহের পাহাড় ধ্বংস করে; অন্তরে আল্লাহর যিকির জারি বা চালু করে দেওয়ার পদ্ধতিকে তাওয়াজ্জুহ বলে। মুরিদানরা ছবক ঠিকমতো আদায় করছে কিনা তিনি তা সূ²ভাবে তদারকি করতেন। কোনো ক্ষেত্রে ভুল হলে শোধরিয়ে দিতেন। এক কথায় , মুরিদানরা ছবক কতটুকু আদায় করতেছে তা পর্যবেক্ষণ করতেন। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবারে তাঁর মাহফিলে সাধারণ মুসলমান ছাড়াও উচ্চ শ্রেণীর আলিম, মুফাচ্ছির, মুহাদ্দিস, ফকীহ, মাশায়েখ, কাজী, মুফতী, আধ্যাত্বিক তত্ত্ববিদ ও সুফী-দরবেশ উপস্থিত থাকতেন। তাঁর প্রত্যেকটি কথা তাঁরা শ্রবণ করতেন। তিনি অহেতুক কোন কথা বলতেন না। তাত্ত্বিক আলোচনা করতেন সবসময়। তাঁর আলোচনা ও ওয়াজ নসিহত ছিলো কুরআন ও হাদিসের তথ্যবহুল ভান্ডার। তাঁর সিনা আল্লাহ প্রদত্ত¡ এক বিশেষ জ্ঞানে পরিপূর্ণ ছিলো যাকে তাসাউফ পন্থীগণ ইলমে লাদুন্নী এবং কাশফ্ নামে আখ্যা দিয়েছেন। এ জ্ঞান অত্যন্ত দুর্লভ ও অদৃষ্টপূর্ব। আল্লাহর দরবারে যারা কবুল হয়েছেন তাঁদের কে আল্লাহ তা’লা একটি বিশেষ নামে আহবান করেন। অনুরূপে আল্লাহ তা’লা তাঁকে “হাফিজ নুরুল্লাহ” নামে ভ‚ষিত করেছেন। এ মহান আত্মিক শুদ্ধপুরুষ ইসলামের সুমহান দাওয়াত প্রচারে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপথে তরীক্বতের সফর করতেন; বিশেষ করে পীর সাহেব হজরত আজমগড়ী রহ.’র সফরসঙ্গী হিসেবে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলেও। তিনি ২৭ জন খলিফা এবং পঁয়তাল্লিশ হাজার মুরিদান রেখে ১৯৫৪ সালের ৬ ই রবিউল আউয়ালের দিবাগত রাত ১ টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। সেদিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশে দু’ এক ফোটা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছিল; সারাদিন সূর্য্যের মুখ দেখেনি কেউ। তাঁর ইন্তোকালের পর পীর সাহবে হযরত আজমগড়ী রহ. হালিশহর দরবারে এসে বলেছিলেন, “মেরে মুনীরকে ইন্তেকালকে ওয়াক্ত আল্লাহতায়ালা কী রহমতকে ফেরেস্তে সাতো আসমানছে ফুল বরছাতে রাহে, মাই দেখ কর বহুত খোশ হোঁ। অর্থাৎ আমার মুনীরের রহ. ইন্তেকালের সময় মহান আল্লাহর রহমতের ফিরিস্তাগণ খোশ আমদেদ বা অভ্যর্থনা জানাতে সাত আসমানে রহমতের ফুল বর্ষণ করেন। তাঁর বেলায়াতের স্তর সম্পর্কে হজরত আজমগড়ী রহ. বলেছিলেন, “হামারা মুনীর কা পায়া বহুত উঁচা হ্যায়, বড় পীর ছাহেব, খাজা ছাহেবছে কম না ছমজো। আবি মসজিদ যাকে এলান কর দো, আজ মাগরীবকে বাদ জু ফাতিহা শরীফ পড়তা হ্যায় উচ্ ফাতিহা শরীফ পড়নে কে ওয়াক্ত হযরত বড় পীর ছাহেব রহ. হযরত সাইয়্যিদ আবদুল বারী শাহ রহ. কে নাম পর সুলতানুল আউলিয়া হযরত হাফিজ মুনীরুদ্দীন রহ. কী রূহ পাক পর বখশিস করদো। মেরে ইন্তেকাল হুনেকে বাদ মেরা নাম পহলে আওর মেরে মুনীরকা নাম পিছে লেবে। ইস তরীক্বামে যিনো ওলি আল্লাহ্ ইন্তেকাল ফরমায়ে হ্যায়, উন সবকি আরওয়াহ পর বকশিষ করদেবে। হামারা মুনীর কা মাজার শরীফ আচ্ছা মজবুত ছে তৈয়ার করো।” হে আল্লাহ আপনার প্রিয়জনদের পথে ও মতে চলার তৌফিক দান করুন। তাঁদের উচিলায় আমাদের কে ক্ষমা করে দু’জাহানে কামিয়াবি দান করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত ভালো একটি কাজে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ০৫/০৪/২০২৪ শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কাতার চ্যারিটির পক্ষ থেকে ৫০০ পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী প্রদান উপহার প্রদান করেন ৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আব্দুল মতিন সাউদ ভাই ও ফুলকুড়ি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ভাই ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই ছিলেন পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতায়‌ ছিলেন এলাকার সকল ছোট ভাইয়েরা। এবং এই ঈদ সামগ্রীর আয়োজক ছিলেন আমজাদ হোসেন বাবলু ভাই এডমিন কাতার চ্যারিটি

পাঁচ শতাধিক পরিবার কে ঈদ উপহার দিলো কাতার চ্যারিটি